সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম বিতর্কে আমরা জড়াতে চাই না। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়। ইভিএম পদ্ধতি থাকলেও আমরা নির্বাচনে আছি, আর
মঙ্গলবার দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ও শীতবস্ত্র বিতরণকালে এ সব কথা বলেন।
সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানি, গ্রেফতার এবং আইসিটি আইনে সাংবাদিক গ্রেফতার ও হাতকড়া পরানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তদন্ত না করে আইসিটি আইনে সাংবাদিককে হাতকড়া পরানোর কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদন্ত করে আমরা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আইসিটি আইনের মামলায় তদন্ত করেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা। তবে কোনো সাংবাদিক হোক বা কোনো নিরীহ কেউ অহেতুক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হয়রানি হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ও কবিরহাট উপজেলার সম্ভাব্য অংশকে ইকোনোমিক জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে সরকার ৪ হাজার ৮৩৫ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে জেলায় বেকারদের কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা হবে।
এ সময় তিনি জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার কবিরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী চৌধুরী, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল প্রমুখ। ইভিএম পদ্ধতি না থাকলেও আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো আপত্তি নেই।